September 19, 2024, 2:12 am
নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুরে রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪৬ বছর বয়সী মায়ের হয়ে ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী খাদিজা বেগম (৪৬) গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া আলিম মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। গত তিনটি পরীক্ষায় তার হয়ে মেয়ে সুমাইয়া খানম পরীক্ষা দিয়েছেন।
এ সময় তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি। পরে তার অভিবাবকরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করে তাকে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের সচিব আতিয়ার রাসুল হিমেল জানান, কেন্দ্রের একটি কক্ষে এক পরীক্ষার্থীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় তার প্রবেশ পত্র দেখতে চাইলে সে সাদা-কালো একটি প্রবেশপত্র দেখায়। পরে ছবির সাথে চেহারার অমিল থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে জানা যায় মায়ের স্থলে সে পরীক্ষা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কারসহ তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।
অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী খাদিজা বেগম জানান, মেয়েকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়ানো ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষানবিশ) রাসেল মুন্সি বলেন, অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে শিশু বলে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি।